ক্লাউড মাইনিং কি এবং কিভাবে কাজ করে ? - Online Business

Breaking

Home Top Ad

 


Saturday, February 3, 2018

ক্লাউড মাইনিং কি এবং কিভাবে কাজ করে ?


প্রথমেই বলা দরকার যে ক্রিপ্টোকারেন্সি দুই ধরণের। একটা মাইনেবল আরেকটা প্রিজেনারেটেড। মাইনেবল ক্রিপ্টোর মধ্যে অবশ্যই প্রথমে আছে বিটকয়েন। এছাড়াও ইথেরিয়াম, লাইটকয়েন, জিক্যাশ, মনেরো ইত্যাদি মাইন করা যায়। মাইন করা যায় না এমন কয়েনগুলির মধ্যে আছে রিপল, আইওটা ইত্যাদি। বিভিন্ন কয়েনের বিশেষত্ব নিয়ে ধাপে ধাপে আলোচনার ইচ্ছা আছে।
মাইনিং এক সময় পিসি দিয়ে করা গেলেও এখন আসলে আর তা সম্ভব না। বিটকয়েন মাইনিং এমনকি ৮~১৮ টা জিপিইউ-এর রীগ বানিয়েও সুবিধাজনক না। SHA-256 হ্যাশিং অ্যালগরিদম নিয়ে কাজ করার জন্য বিশেষ ভাবে ডিজাইন করা ASIC মাইনার দিয়ে আজকাল বিটকয়েন মাইনিং করা হয়। তবে এই হার্ডওয়্যার যোগাড় করা বেশ ঝামেলার। প্রডাকশন অনেক কম এবং বাজারে আসার আগেই এগুলি প্রিসেল হয়ে যায়। আবার দামও বেশ চড়া। জিপিইউ রীগ দিয়ে কেউ চাইলে মাইনিং করতে পারেন, সেক্ষেত্রে এমন অনেক কয়েন আছে যাদের অ্যালগরিদম এমনভাবে ডিজাইন করা যেন ASIC মাইনার দিয়ে সেগুলি মাইন করা না যায়।
বিটকয়েন মাইনিং এর জন্য আরেকটা উপায় হচ্ছে ক্লাউড মাইনিং। কিছু প্রতিষ্ঠান শীতপ্রধান অঞ্চলে স্বল্প খরচের বিদ্যুতের সুবিধা নিয়ে মাইনিং ফার্ম বসিয়েছে। তারা হ্যাশপাওয়ার বিক্রি করে। এবং সেই অনুপাতে মাইন করা বিটকয়েন দেয়, ইলেক্ট্রিসিটি এবং মেইন্টেন্যান্স খরচ বাদ রেখে। তবে সমস্যা হচ্ছে এই প্রতিষ্ঠান গুলির মধ্যে ফ্রডের সংখ্যা মাত্রাতিরিক্ত। দীর্ঘদিনের ট্র্যাক রেকর্ড এবং রিভিউ এর ভিত্তিতে আমি তিনটা কোম্পানির ব্যাপারে মোটামুটি নিশ্চিত হতে পেরেছি যে তারা লেজিট, টেকাটুকা নিয়ে ভেগে যাওয়ার চান্স প্রায় নাই।
১। জেনেসিস মাইনিং – সমস্যা হচ্ছে তাদের সব মাইনিং কন্ট্রাক্ট সোল্ড আউট। যারা গত নভেম্বরে কিছু প্রিসেল কন্ট্রাক্ট কিনতে পেরেছিলাম যেটার মাইনিং শুরু হবে আগামী মার্চের ১৫ তারিখে। একটা রেফারেল কোড দিচ্ছি, চাইলে ব্যবহার করতে পারেন, ৩% ডিস্কাউন্ট পাওয়া যাবে – hOymIM
২। হ্যাশফ্লেয়ার – এদের অল্প কিছু মাইনিং কন্ট্রাক্ট এখনো বাকি আছে। প্রথমেই সতর্ক করা দরকার যে একমাত্র SHA-256 মাইনিং কন্ট্রাক্টটাই সবথেকে লাভজনক। তবে সাম্প্রতিক ইথেরিয়ামের দাম অনেক বেড়ে যাওয়াও ETHASH ও বেশ প্রফিট্যাবল হয়ে উঠেছে। মাইনিং এর প্রফিট্যাবিলিটি হিসাব করার অনেক ক্যাল্কুলেটর আছে। চাইলে সেখানেও হিসাব করে দেখতে পারেন। এই নিয়ে পরে বিস্তারিত কথা বলা যাবে।
৩। সিসিজি মাইনিং – সিসিজি মাইনিং খুব বেশিদিন হলো বাজারে না আসলেও তাদের কর্মকান্ড যথেষ্ট ট্রান্সপারেন্ট। তাদের মাইনিং সেটাপ, রিগ ইত্যাদির ভিডিও ইউটিউবে পাওয়া যায়, সিসিজি’র ওয়েবসাইটেও আছে যেটা আসলে আস্থা অর্জনের জন্য খুব ভাল ব্যাপার। সিসিজি মাইনিং এর টিম মেম্বারদের ছবি সহ সোশ্যাল মিডিয়া, লিঙ্কডইন প্রফাইল ইত্যাদি যে কেউ চাইলে দেখতে পারে এবং তারা সবাই আসল মানুষ, ফেক আইডি না। এই সমস্ত দিক বিবেচনায় সিসিজি মাইনিং কে বেশ ভাল এবং ‘লেজিট’ বলেই মনে হচ্ছে। সবথেকে ভাল ব্যাপার হচ্ছে তাদের বিটকয়েন মাইনিং কন্ট্রাক্ট ওপেন-এন্ডেড, অর্থাৎ লাইফ টাইম। যতদিন পর্যন্ত মাইনিং এর আয় থেকে প্রতিদিনের মেইটেন্যন্সের খরচটা অন্তত উঠে আসে ততদিন পর্যন্ত এই কন্ট্রাক্ট চলতে থাকবে।
আপাতত কিছু SHA-256 মাইনিং কন্ট্রাক্ট কেনা সবথেকে লাভজনক। মাইনিং ডিফিকাল্টি এবং বিটকয়েনের বর্তমান মূল্য ইত্যাদি হিসাব করলে ROI প্রায় ৪ থেকে ৫ মাস। তবে এটা ফিক্সড কিছু না। কিন্তু সুবিধা হচ্ছে আপনি ক্রেডিট কার্ডেও কিনতে পারবেন (ডলার এন্ডোর্স থাকতে হবে) এবং সরাসরি বিটকয়েন না কিনে এভাবে জেনারেট করার ব্যাপারটা মজার।